১.বাগদা চিংড়ী :১৯৯০ সাল থেকে কারখানায় চিংড়ী খাদ্য উৎপাদন শুরুহয়, ১৯৯২ সাল থেকে বানিজ্যিক ভাবে হ্যাচারীতে বাগদা চিংড়ী পোনা উৎপাদন শুরুএবং চিংড়ী চাষের উপকরণ প্রাপ্তি সহজলভ্য হওয়ায় এ এলাকায় মানুষের মধ্যে একক ও সমাজভিত্তিক চিংড়ী চাষের প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসারিত হয়েছে চিংড়ী চাষের ক্ষেত্র। গত এক দশক আগেও অত্র উপজেলায় বাগদা চিংড়ীর উৎপাদন ছিল ৩৫০০মেঃটন, যা ২০১৩ সালে ৫৭২০মেঃ টঃ উন্নীত হয়েছে।বাগদা চিংড়ী শিল্প অত্র উপজেলাসহ আশেপাশে অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। বাগদা চিংড়ীর ব্যবসা করে অত্র এলাকার লোকজনের দরিদ্রতা ঘুচেছে এবং অর্থনৈতিক সফলতা লাভ করেছে।
২। কৃষি ক্ষেত্রে : পাইকগাছা উপজেলাতে সম্ভাবনাময় কৃষির মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কৃষি হলো ঘেরে সবজি চাষ এবং গমের আবাদ। যেহেতেু এই উপজেলাটিতে মাছ চাষ বেশী হয় সেহেতেু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উদ্বুদ্ধকরনের মাধ্যমে যেসকল ঘের গুলো সবজি চাষের উপযোগী সেগুলো চিহ্নিত করে সবজি চাষের আওতায় আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অনেকটা সফল। কারণ অনেক কৃষক এখন নিজেরাই ঘেরে সবজি চাষ করছে।
এছাড়া গমও পাইকগাছা উপজেলার সম্ভাবনাময় কৃষির মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কারণ ২০১২ সালে গম আবাদের পরিমান পাইকগাছা উপজেলাতে ছিল মাত্র ৬০ হে: ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে গম আবাদের পরিমান পাইকগাছা উপজেলাতে বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে হয়েছে ২০০ হে: এবং ২৬০ হে:। আগামী বছর গুলোতে গম আবাদের পরিমান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমাদের ধারনা।এখানে বনজ ও ফলজ চারা তৈরীর ছোট ছোট নার্সারী কেন্দ্র আছে।
৩। প্রাণি সম্পদ : এখানে হাঁস-মুরগী,কোয়েল,কবুতর,ছাগল,ভেড়া ও গরুমোটাতাজাকরনের মাধ্যমে এলাকার লোকজনের দরিদ্রতা ঘুচেছে এবং অর্থনৈতিক সফলতা লাভ করেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস