নামকরণঃখুলনা জেলার একটি প্রচীন ও প্রসিদ্ধ উপজেলা পাইকগাছা। খুলনা জেলা সদর হতে পাইকগাছা উপজেলা ৬৫ কিঃ মিঃ দক্ষিনে অবস্থিত। সরলের দীঘি,সরল খাঁর বাড়ী ও কাছারীর পাশে চাল ধোয়ার পুকুর ও রাসত্মার অপর পাশে থানার পুকুর কালের সাক্ষী হিসেবে আজও বিদ্যমান । কয়েকটি গ্রাম সরল খাঁর সৈন্য বা কর্মচারীদের কাজের স্বাক্ষী। সরল খাঁ যে এলাকায় বাস করতেন তার নাম হয় সরল। গরম্নর রাখালদের আবাসস্থল‘গোপালপুর’ গরম্নরাখার জন্য যেখানে গোশালা ছিল সে গ্রামের নাম ‘ঘোষাল,’ গদাইপুরের নিকটে যেখানে সৈন্যরা গড়কেটে ডাকাতদের বিরম্নদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ছিল সেটা ‘গড়পার’, প্রাসাদের বান্দিদের আবাসস্থল ‘বান্দিকাটি’,প্রাসাদে বাতি জ্বালানো কার্যে নিয়োজিত কর্মচারীরা যে এলাকায় থাকত‘বাতিখালী’,গাছে চড়ে পাইক-বরকন্দাজরা পাহারা দিত বলে ‘পাইকগাছা’এবং লোক- লস্কর দিয়ে যে দীঘি খনন করা হয়েছিল সে এলাকা ‘লস্কর’ গ্রাম হিসেবে আজও সরল খার কীর্তি বহন করছে। এভাবেই পাইকগাছা উপজেলার নাম করণ করা হয়।২২/০৪/১৮৭২ খৃঃ তারিখে পাইকগাছা থানা স্থাপিত হয়। ১৯৮২ সালে মান উন্নিত থানা এবং ১৯৮৫ সালে উপজেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠি হয়। পৃথিবী বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন এর সন্নিকটে পাইকগাছা উপজেলা অবস্থিত। খুলনা জেলা সদর থেকে এর দূনত্ব প্রয় ৬৫ কিঃমিঃপাইকগাছা পেৌরসভা "খ" শ্রেনী ভূক্ত। এর মোট জনসংখ্যা-২,৪৭,৯৮৩ জন। এর ভেতরে মুসলিম জনসংখ্যা - ১,৬৬,৫৬৪ জন, হিন্দু জনসংখ্যা- ৮০,৩৩২ জন ও খৃষ্টাস - জনসংখ্যা -১,০৮৭ জন। এই উপজেলার মোট আয়তন-৩৮৩,৮৭ বর্গ কিলোমিটার।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস